হাসান নাসির/এইচএম এরশাদ ॥
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার আশ্বাসের পাশাপাশি চলছে পরিকল্পিতভাবে বিতাড়নের কাজটিও। অভিযানের নামকরণ যখন হয় ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ তবে পরিষ্কার যে, মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে চলমান এবারের নির্যাতনে যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রা। এবার শুধু নিপীড়নেই সীমাবদ্ধ নয় মিয়ানমার বাহিনী। পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বিতাড়িতদের ঘরবাড়ি, যাতে করে তারা আর মাথা গুঁজবার জায়গাটুকুও না পায়। সীমান্তে মাইন পোঁতার উদ্দেশ্য তাদের নিজভূমে ফিরতে না দেয়া। রাখাইনে নির্যাতন কিছুটা কমে এলেও বাংলাদেশ অভিমুখে স্রোত থেমে নেই। প্রতিদিনই আসছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। মংডু, বুচিদং, রাচিদংসহ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে, যাতে করে তাদের সেখানে বসবাস এবং জীবিকার শেষ অবলম্বনটুকুও না থাকে। বাড়িঘরের পাশাপাশি পোড়ানো হচ্ছে খাদ্যের মজুদ, দোকানপাট এবং হাটবাজারও। ফলে তীব্র খাদ্যাভাবে বসবাসের অবস্থা নেই রাখাইনে। প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে অতঃপর রোহিঙ্গারা বাধ্য হচ্ছে সীমান্ত পাড়ি দিতে।
রাখাইন থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা জানাচ্ছেন, তাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার নেপথ্যের এমনই করুণ নীলনক্সা। তারা বলছেন, আমরা থাকতে চাইলেও সম্ভব নয়। ঘর নেই, খাদ্যও নেই। চলছে ক্রমাগত হুমকি ধমকি। মিয়ানমার সেনারা বলছে, বাংলাদেশ বর্ডার খোলা আছে। বাঁচতে চাইলে সেদিকে চলে যা।
গত ২৪ আগস্ট রাতের পর থেকে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে রোহিঙ্গা ঢল সেই যে শুরু হয়েছে, তা থামার লক্ষণ নেই দেড়মাসেও। আন্তর্জাতিক চাপে মাঝে নির্যাতনের মাত্রা একটু কমলেও এখনকার কৌশল ভিন্ন। আর তা হলো, যারা আছে তারা যেন খাদ্যাভাব এবং আবাসনের অভাবে বসবাস করতে না পারে। শুধু আবাসন এবং খাদ্য ধংসই নয়, নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে নলকূপ এবং পুকুরের বিশুদ্ধ পানিও। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ কোন্ মাত্রায় পৌঁছলে বাড়িঘরে আগুন এবং খাদ্য ও পানীয় জল পর্যন্ত বিনষ্ট করা হতে পারে তা ভাবতেই শিউরে উঠছেন মানবাধিকার কর্মীরা। রোহিঙ্গাদের অনেক দাবি এবং চাওয়া থাকলেও এ মুহূর্তে প্রাণে বেঁচে থাকাটাই যেন তাদের সবচেয়ে বড় আকুতি।
পুড়ছে হাটবাজার ও খাদ্যের মজুদ ॥ সীমান্তের ওপার থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা অগ্নিসংযোগ করেছে দক্ষিণ রাখাইনের বুচিদংয়ের রোহিঙ্গা পল্লী আলিয়ং বাজারে। এক প্লাটুন সৈন্য শনিবার দুপুরে বাজারটি ঘেরাও করে আগুন দেয় রোহিঙ্গাদের বন্ধ দোকান পাটে । এতে পুড়ে গেছে বহু রোহিঙ্গা ব্যবসায়ীর দোকান ।
সূত্র জানিয়েছে, আলিয়ং বাজারটি ছিল রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যবসার একটি বড় ক্ষেত্র। বাজারটি স্কুল, মাদ্রাসা, ইউনিয়ন অফিস ও স্থানীয় রোহিঙ্গা পল্লীগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে হওয়ায় সর্বদা ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম থাকত। কিছুদিন আগে প্রশাসনের তরফ থেকে রোহিঙ্গা ব্যবসায়ীদের বাজারটি বন্ধ করে দেয়ার নোটিস দেয়া হয়। সেই থেকে রোহিঙ্গা ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ রাখে। তারপরও থেমে নেই সেনারা। শনিবার দুপুরে তারা অগ্নিসংযোগ করে। আগুনের লেলিহান শিখা বসতঘরেও ছড়িয়ে পড়ে। কেন এই নারকীয়তা, তার কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, বুচিদং বাজারে রোহিঙ্গাদের যেতে হলে এনভিসি কার্ড তথা অভিবাসন কার্ড নিতে হয়। কিন্তু আলিয়ং বাজারে তার প্রয়োজন পড়ে না। তাই সেনা বাহিনী আলিয়ং বাজার পুড়িয়ে দিয়েছে, যাতে রোহিঙ্গারা বুচিদংমুখী হয়ে পড়ে এবং এনভিসি নিতে বাধ্য হয়। এদিকে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অত্যাচার ও নিপীড়ন অব্যাহত থাকায় গত কয়েকদিন ধরে ফের রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নতুন করে ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গারা।
বিশ্বজনমতের চাপে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রাখাইন রাজ্যের অধিবাসীদের ১৯৯২ সালের চুক্তি অনুযায়ী যাচাই-বাছাই শেষে ফেরত নেবে বলে ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছে মিয়ানমার সরকার। এরমধ্যে একজন মন্ত্রীকেও বাংলাদেশে প্রেরণ করেছে মিয়ানমার। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের দেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই মিয়ানমান যেতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কিন্তু এরপরও রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাড়িঘর লাগাতার জ্বালিয়ে দেয়া ও হত্যা নির্যাতন বন্ধ হয়নি। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা নৌকাযোগে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে আশ্রয় নিচ্ছে। আর সেখানে পুড়ে যাওয়া বাড়িঘরের দখল নিয়ে নিচ্ছে সরকার। পুড়ে যাওয়া ভিটা সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে বলে সেনা শাসকরা আগেই আইন করে রেখেছে। গণহত্যা, নির্যাতন বন্ধ করতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাসহ বিশ্বসম্প্রদায়ের আবেদন-নিবেদন, অনুরোধ উপেক্ষা করে মিয়ানমার আর্মি সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে জিরো পয়েন্টের অদূরে নিয়মিত সেনা টহল চলছে। আর মাত্র তিন লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে তাড়িয়ে দিতে পারলেই আরাকান তথা রাখাইন রাজ্য হবে রোহিঙ্গামুক্ত ।
মিয়ানমার ফিরে যেতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তুলে ধরেছেন পাঁচ দফা প্রস্তাব। এর মধ্যে রয়েছে অনতিবিলম্বে ও চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও জাতিগত নিধন নিঃশর্তে বন্ধ করা, অবিলম্বে মিয়ানমারে জাতিসংঘ মহাসচিবের নিজস্ব অনুসন্ধানী দল পাঠানো, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল নাগরিকের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে মিয়ানমারের ভেতরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষাবলয় গড়ে তোলা, রাখাইন রাজ্য থেকে জোর করে তাড়িয়ে দেয়া সকল রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে তাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরিয়ে নেয়া ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা এবং কোফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্তভাবে পূর্ণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
প্রাণে বেঁচেই স্বস্তিতে রোহিঙ্গারা ॥ টেকনাফের একাধিক সীমান্ত এলাকা দিয়ে এখনও বাংলাদেশে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা জানান, বাংলাদেশে এসে এখন তারা স্বস্তিতেই রয়েছেন। নিয়মিত পাচ্ছেন প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবা। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে এ পর্যন্ত ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে উখিয়া, টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায়। দেশী-বিদেশী, বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে তাদের সবচেয়ে বড় স্বস্তি প্রাণ রক্ষা পাওয়ায়।
হাতি চলাচলের পথ বন্ধ ॥ হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে রোহিঙ্গাদের মৃত্যুর ঘটনা থেমে নেই। বন্যহাতি চলাচলের পথ বন্ধ করে বসতি স্থাপন করাকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। উখিয়া-টেকনাফে গত এক মাসে বন্যহাতির পায়ের চাপায় মারা গেছে অন্তত ১০ রোহিঙ্গা। দু’মাস আগেও কুতুপালং-টিভি রিলে কেন্দ্র এলাকায় তেমন কোন বসতি ছিল না। ছিল বন্যহাতির পাল চলাচলে তৈরি রাস্তা।
স্থানীয়রা বলছেন, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের একটি অংশ ঘর তোলে ওই পথের ওপর। আর এতেই শুরু হয় বিপত্তি। আশ্রয়প্রার্থীরা বলছেন, ঝুঁকির কথা জেনেও এখনেই বাস করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এসব রোহিঙ্গাকে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে নিয়ে আসার কথা বলছে প্রশাসন।
১০টি রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে ॥
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অত্যাচার ও নিপীড়ন অব্যাহত থাকায় গত কয়েকদিন ধরে ফের রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নতুন করে ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গারা। কক্সবাজার ও উখিয়ার ১২টি পয়েন্ট থেকে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সেনাবাহিনী সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ বিতরণ ও ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণের কার্যক্রম চালাচ্ছে। ত্রাণ সরবরাহের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ক্যাম্পে ১০টি রাস্তার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানা গেছে।
রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে কর্মশালা ॥ কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের স্রোত দিন দিন বাড়ছে। এ কারণে সরকারের তালিকায় কক্সবাজার জেলাকে বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোটার কার্যক্রমে কর্মকর্তাদের খুব সতর্ক এবং যেকোনভাবেই রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন।
রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া রোধকল্পে উপজেলা বিশেষ কমিটির যাচাই-বাছাই কার্যক্রম আরও নিখুঁত, নির্ভুল, গতিশীল করার লক্ষ্যে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ৩ দিনব্যাপী কর্মশালায় জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। জেলা নির্বাচন অফিসারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন খান।
রবিবার কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও পেকুয়া এবং আজ সোমবার সমাপনী দিনে চকরিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিশেষ কমিটির সদস্যরা তথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেবেন। কর্মশালার প্রথম দিনে কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া ও টেকনাফের বিশেষ কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।
৯২ হাজার রোহিঙ্গা নিবন্ধিত ॥ ৯১ হাজার ৪২৩ জন রোহিঙ্গা বায়োমেট্রিক (আঙ্গুলের ছাপ) পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে। উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারী ব্যবস্থাপনায় পাঁচটি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ চলছে।
সরকারী এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, কুতুপালং ক্যাম্পে ২ হাজার ৭৯ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ২ হাজার ৪৯৩ জন, থাইংখালী ক্যাম্পে এক হাজার ৬৬৪ জন, বালুখালী ক্যাম্পে এক হাজার ৯৭ জন, লেদা ক্যাম্পে এক হাজার ৭৬২ জনসহ শনিবার পাঁচটি কেন্দ্রে মোট ৯ হাজার ৯৫ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। পাসপোর্ট অধিদফতর এ নিবন্ধন কাজ বাস্তায়ন করছে।
৯ লাখ কলেরার ভ্যাকসিন ॥ রোহিঙ্গাদের মাঝে কলেরার প্রাদুর্ভাব রোধ করার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউনিসেফ। একটি বিশেষ প্লেনে তারা ঢাকায় ৯ লাখ কলেরার ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছেন। ভ্যাকসিনগুলো কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, টেকনাফ ও উখিয়ায় নতুন আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফের তথ্য অনুসারে, এর মধ্যে ৬০ শতাংশই শিশু। এসব শিশু ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বরসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
রোহিঙ্গা শিবিরে জিপিএইচ গ্রুপের ত্রাণ ॥ কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালীতে রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগ্রুপ জিপিএইচ। জিপিএইচ ইস্পাত এবং কাউন্ট সিমেন্টের উদ্যোগে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়। প্রথমে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি মেজর রাশেদের কাছে শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ হস্তান্তর করা হয়। এরপর কর্মকর্তারা বালুখালী এলাকায় সরাসরি শরণার্থীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এসময় ছিলেন জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ক্রাউন সিমেন্টের পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল, পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ, নির্বাহী পরিচালক এ.বি.সিদ্দিক ও কামরুল ইসলাম এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। শিল্প গ্রুপটি ১৫ হাজার পরিবারের মধ্যে ৭৫ টন চাল, ১৫ টন ডাল, ৪৫ টন আলু, ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল, সাড়ে সাত টন লবণ, সাড়ে চার টন মসলা ও ৩০ হাজার স্ট্রিপ প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী বিতরণ করে। প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বেসরকারী উদ্যোগে আমরাই সবচেয়ে বেশি ত্রাণ বিতরণ করেছি। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবেই আমরা দুর্দশাগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
পাঠকের মতামত: